Wednesday, May 16, 2018

কুরআনের আলোকে নৈতিকতা ও শিষ্টাচার: পার্ট-২

কুরআন সম্পর্কে আমাদের মাঝে যে প্রচলিত ধারণা তা হলো- এটি উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন ধর্মীয়, ঐতিহাসিক এবং জটিল তথ্যভিত্তিক একটি বই বা গ্রন্থ। এখানে রয়েছে নামাজ, যাকাত, রোজা ও হজ্জের নিয়ম-কানুন, মক্কার মুশরিক, মদিনার ইয়াহুদিদের বর্ণনা ও প্রাচীনযুগের নবী-রাসূলদের ইতিহাস। এটি মুসলমানদের অতি মর্যাদাবান একটি গ্রন্থ। যেটির প্রতি হরফ পাঠে রয়েছে ১০ নেকি। সে হিসেবে কুরআন খতম দেয়ার মাঝে রয়েছে অশেষ সওয়াব। সেই সওয়াব হাসিলের জন্য চলে প্রতিযোগীতা। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে এমন সাধারণ বিষয়গুলো যে কুরআনে থাকতে পারে আমাদের ভাবনায় তা কখনো আসেনা। যেমন- কথা বলা, চলাফেরা, আচরণ ইত্যাদি সূক্ষ্ণ বিষয়গুলোর জন্য কুরআনের কী প্রয়োজন। আসলে কী তা-ই? দেখা যাক মানুষের স্রষ্টা আল্লাহ তা'য়ালা নিজে তার সেরা সৃষ্টির দৈনন্দিন জীবন পরিচালনার জন্য কত কিছু শিখিয়েছেন-

**  তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারও উপাসনা করবে না, পিতা-মাতা, আত্নীয়-স্বজন, এতীম ও দীন-দরিদ্রদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে, মানুষকে সৎ কথাবার্তা বলবে, (মানুষের সাথে কথা বলার সময় ভদ্র, মার্জিতভাবে উত্তম কথা বলবে) নামায প্রতিষ্ঠা করবে এবং যাকাত দেবে। সূরা বাক্বারা : আয়াত-৮৩ 

**  তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভূলে যাও। সূরা বাক্বারা : আয়াত-৪৪ (অন্যকে কিছু সংশোধন করতে বলার আগে অবশ্যই তা নিজে মানবে।)

আরো পড়ুন >>>>>>

No comments:

Post a Comment